মন্দিরে চুমুতে আপত্তি! খাজুরাহোর দেওয়ালের ছবি দিয়ে নেটফ্লিক্সের পাশে দাঁড়ালেন মহুয়া মৈত্র

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: বিবাহের নামে ধর্মান্তর বা লাভ জিহাদ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দেশ জুড়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তার কোপ পড়েছে বিনোদন জগতেও। বিগ বসের পর মন্দির প্রাঙ্গণে হিন্দু মুসলিম চুম্বন দৃশ্য নিয়ে সমালোচিত হয়েছে নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ “আ সুইটেবল বয়”। এবার মধ্যপ্রদেশ সরকারের সেই নেটফ্লিক্স বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
মীরা নায়ার পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘আ সুইটেবল বয়’ নিয়ে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে একটি মন্দির।দৃশ্যে দেখা গেছে মন্দিরের সামনে এক হিন্দু যুবতীকে চুম্বন করছে এক মুসলিম যুবক। এই দৃশ্য নিয়ে মহুয়া মৈত্র মধ্যপ্রদেশ সরকারের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন সেই রাজ্যের ভাস্কর্য টেনেই। বলেছেন, “রাজধানী থেকে ৩০০ কিমি দূরেই খাজুরাহো।” সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের সঙ্গে খাজুরাহো মন্দিরের ভাস্কর্যের ছবিও দিয়েছেন তিনি।
বস্তুত, নেটফ্লিক্স বিতর্কের পর মধ্যপ্রদেশ সরকার ওয়েব সিরিজের সমস্ত দৃশ্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসনকে। সেই সঙ্গে যদি কোনো দৃশ্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই মধ্যপ্রদেশ সরকারকে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, “মধ্যপ্রদেশ সরকার পুলিশকে নেটফ্লিক্স খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। বলেছে, যদি ভাবাবেগে আঘাত লাগার মতো কিছু থাকে তাহলে ব্যবস্থা নিতে। অথচ, রাজ্যের রাজধানী থেকে ৩০০ কিমি দূরেই খাজুরাহো!”
খাজুরাহো মন্দিরের ভাস্কর্যের দিকে তাকালে প্রাচীন ভারতের যে স্থাপত্য চোখে পড়ে নারী পুরুষের যৌনতাই তার মূল বিষয়। এ প্রসঙ্গে প্রগতিশীলদের বক্তব্য, বিজেপি আমলে যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ্য যৌনতার বিরোধিতা করা হচ্ছে তা শিল্পীর স্বাধীনতাকে খর্ব করছে বারবার। এর আগেও একাধিক ছবিতে ধর্মীয় মৌলবাদীদের কোপ পড়তে দেখা গেছিল। সেই প্রেক্ষাপটেই নেটফ্লিক্সের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হলেন মহুয়া মৈত্র।