
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ ‘কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন বিল’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দামে সুরক্ষা ও কৃষক ক্ষমতায়ন এবং চুক্তি সংক্রান্ত বিল’ নিয়ে রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখিয়ে রবিবার বরখাস্ত হয়েছেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন-সহ ৮ জন সাংসদ। এরপরই বিজেপিকে টুইটে একহাত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখানেই থেমে থাকেননি সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির তুলোধনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সংসদে আন্দোলন চলছে। কাল থেকে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস,পরশু ছাত্র তার পরের দিন কৃষক ও ক্ষেতমজুর রাজ্যে লাগাতার আন্দোলন চলবে।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তিনি হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘হিটলারের সরকার সংবিধানের, আদালতের গণহত্যা করছে।’ এদিন বিরোধীদের মত না নিয়ে ‘অগণতান্ত্রিক উপায়ে’ রাজ্যসভায় দুটি কৃষি বিল পাশ করানো এবং রাজ্যসভায় বিশৃঙ্খলতার দায়ে দুই তৃণমূল সাংসদ–সহ ৮ সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করার ঘটনার নিন্দা করে সুর চড়ালেন মমতা। রবিবারের এই ঘটনাকে ‘কালো রবিবার’ বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন জানিয়েছেন যে সংসদ চত্ত্বরে রাতভর বিক্ষোভ কর্মসূচী চালাবেন তৃণমূলের দুই সাংসদ সহ ৮ জন সংসদ সদস্য।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তৃণমূলের মহিলা নেতা–কর্মীরা। বুধবার প্রতিবাদে সামিল হবে ছাত্রসমাজ। আর তার পর থেকে প্রতিবাদ জানাবে তৃণমূলের কৃষক সংগঠন। এদিন মমতা বলেন, ‘বাংলা বরাবর পথ দেখায়। আগেও দেখিয়েছে এখনও দেখাবে। বাংলা সারা ভারতকে নিয়ে লড়ছে। সামনের সারিতে সাধারণ মানুষ থাকুবে। পেছনের সারিতে থেকে আমরা কাঁসর, ঘণ্টা বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাব।’ একইসঙ্গে শ্লোগানে আওয়াজ তোলেন মমতা। বলেন, ‘এই বিজেপি–র সরকার আর নেই দরকার, ‘এই বিজেপি সরকার, বিদায় নেওয়া দরকার।’ কেন্দ্রীয় সরকারের নিন্দা করে এদিন তিনি বলেন, ‘ছিঃ বিজেপি ছিঃ, বিজেপি হল দেশের লজ্জা।’