
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক:একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক বাদানুবাদে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার পরিস্থিতি। একদিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যকে হাতিয়ার করে মসনদ দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি, অন্যদিকে তেমনই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূলও। এমতাবস্থায় দলবদলের কালো মেঘও ঘনিয়ে এসেছে শাসকদলের আকাশে।
প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পর থেকেই তাঁর দলবদল নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। তিনি যে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তাতে এখন প্রায় সন্দেহ নেই কারোরই। এদিন দলের সেই ‘বিদ্রোহী’ নেতার বিরুদ্ধেই নাম না করে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এতদিন পার্টি করার পর ভোটের আগে অন্যদের সঙ্গে বোঝাপড়া করা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। এদিন জলপাইগুড়ির একটি সভা থেকে তিনি বলেন, “১০ বছর ধরে পার্টির হয়ে খেয়ে, সরকারে থেকে সরকারের সবটা খেয়ে ভোটের সময় এর সঙ্গে ওর সঙ্গে বোঝাপড়া করলে কিন্তু কিছুতেই আমি মেনে নেব না, এটা মনে রাখবেন।”
বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারীর মতো একাধিক তৃণমূল নেতাই ভোটের মুখে দল বিরোধী কাজে অভিযুক্ত হয়েছেন। সেই সমস্ত নেতা মন্ত্রী বিধায়কদের উদ্দেশ্যেই যেন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “এই ১০ বছর ৩৬৫ দিন যাঁরা মানুষের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদেরই পরীক্ষা দিতে হবে। আর এমন পরীক্ষা দেবেন যাতে বিজেপি পরীক্ষা দিতে বসতেই না পারে। আর সিপিএম এবং কংগ্রেস বিজেপির হয়ে দালালি করতে না পারে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে। শোনা যাচ্ছে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে অমিত শাহর (Amit Shah) জনসভাতেই নাকি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, একুশের নির্বাচনের আগে শাসকদলের একাধিক নেতার গলাতেই শোনা যাচ্ছে উল্টো সুর। এমতাবস্থায় জলপাইগুড়ির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।