“দিনের আলোয় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন মমতা”,রঙিন জল ব্যবহার নিয়ে মত তেজস্বী সূর্যের

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: আজ শহরে বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের মিছিলে পুলিশি সক্রিয়তার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃবৃন্দ।তাঁদের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে জলকামানে রঙিন জল ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
জলকামানের মাধ্যমে রাসায়নিক রং মেশানো জল স্প্রে করার বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের নামে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের তরুণ বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। পাশাপাশি এ বিষয়ে কেন্দ্রের তদন্তের দাবিও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আজ বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশি সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিযোগ, নীল রঙের জল স্প্রে করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। জলকামানের ঘায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বস্তুত, মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের জলকামান ব্যবহার রাজ্যে নতুন নয়। কিন্তু জলকামানে জলের পরিবর্তে রঙিন রাসায়নিক ব্যবহারের দৃষ্টান্ত এই প্রথম। এদিন হাওড়া ময়দানে বিজেপির মিছিল আটকাতে, এই রঙিন জলের জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। পরে বিজেপির নেতা-কর্মীদের গায়েও দেখা যায় সেই রঙ। এ বিষয়ে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করা হবে।
এর আগে দিল্লির বিক্ষোভে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রঙিন জল স্প্রে করতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। এমনকি ঢাকাতেও একটি বিক্ষোভ মিছিলে রঙিন জল ছুঁড়েছিল পুলিশ। কিন্তু প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে জলকামানে রঙিন জল দেখা গেল। তরুণ বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য রাজ্য পুলিশের এহেন আচরণের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন তাঁদের গণতান্ত্রিক মিছিল দমন করতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ অত্যন্ত নিন্দনীয়। “দিনের আলোয় প্রকাশ্যে গণতন্ত্র হত্যা করেছেন মমতা”, বলেন তিনি।
তেজস্বী সূর্য আরো বলেন, ‘’যুব মোর্চা শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দিয়েছিল, পুলিশ-তৃণমূলের গুন্ডারা একসঙ্গে মিছিলে হামলা চালিয়েছে। হাজারের উপর বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন।’’ তিনি যোগ করেন, “৫০০-র বেশি বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরে ঢোকার আগে বিজেপির বাস আটকেছে পুলিশ। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ মেনন হাসপাতালে ভর্তি।”