অবশেষে হাথরাসে ঢুকল সংবাদমাধ্যম, কী বলল নির্যাতিতার পরিবার?

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:উত্তর প্রদেশের হাথরাস গণধর্ষণ কান্ডে অবশেষে নতি স্বীকার করল সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন। দীর্ঘ ২৭ ঘন্টা ধরে সংবাদমাধ্যমের একটানা নাছোড়বান্দা মনোভাবের কাছে অবশেষে পিছু হঠতে বাধ্য হলেষ তাঁরা। হাথরাসে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল সংবাদমাধ্যমকে। তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললেন হাথরাস গণধর্ষণ কান্ডের নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। যদিও এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাই এই অনুমতি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমের একটানা অনড় মানসিকতার কাছে পরাজিত হয়ে আজ শনিবার তাঁদের নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়েছে। ওই তরুণীর বাবা, মা, কাকা ও অন্যান্য আরো অনেকের সঙ্গেই কথা বললেন সাংবাদিকরা। জানা যাচ্ছে পরিবার জানিয়েছে, হাথরাসের ওই তরুণী মূল ঘটনার পর প্রায় তিন থেকে চার দিন অজ্ঞান হয়ে ছিলেন। পরে জ্ঞান ফিরলে পরিবারের লোকেদের কাছে তিনি ঘটনার কথা জানান। এরপরেই পুলিশের কাছে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ জানায় তরুণীর পরিবার। কিন্তু সেই অভিযোগের কোনো কপি তাঁদের হাতে দেওয়া হয় নি। এই ঘটনার নারকো টেস্টের কথা তুললে তরুণীর উপর নির্যাতনের প্রমাণের জন্য যে কোনো পরীক্ষা করতেই রাজি আছেন বলে জানান তাঁরা।
তরুণীর পরিবারের লোকজন মিথ্যা বলছেন, পুলিশের এহেন অভিযোগকে একেবারেই উড়িয়ে দেন তাঁরা। তাঁরা জানান, তাঁদের কিছুই গোপন করার নেই। গল্প বানিয়ে বলার মতো পরিস্থিতিও নেই। এছাড়া তরুণীর ময়না তদন্তের রিপোর্ট পরিবারের লোকেরা দেখতে চাইলে পুলিশের ডিএম তাতে রাজি হন নি বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, হাথরাসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর এই ঘটনায় এখন উত্তাল গোটা দেশ। প্রথম থেকেই নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই এতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে একে একে। সামগ্রিক চাপে গতকাল সরকারের তরফ থেকে হাথরাসের পুলিশ সুপার ও ডিএমকে সাসপেন্ড করা হয়।