বাংলা চলচ্চিত্রের নক্ষত্র পতন, শোক প্রকাশ স্বস্তিকা থেকে মিমির, শোকস্তব্ধ টলিউড

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: দীপাবলির উৎসবের মাঝে অবশেষে ফুরোলো বেলাশেষের শেষ আলো টুকুও। চিরতরে থেমে গেল কোনির ক্ষিদ্দার ফাইট। হাসপাতালের বেডে শুয়ে দীর্ঘ ৪১ দিনের লড়াই থামিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাঙালির প্রিয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। নক্ষত্র পতন হল বাংলা চলচ্চিত্র জগতে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেমেছে চলচ্চিত্র জগতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর আসার পর নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে স্বস্তিকা মুখার্জী লিখেছেন, “এই বছরটা সবাইকে কেড়ে নেবে। মা-বাবা, লেজেন্ড, ছেলেবেলা, নস্টালজিয়া, সবটুকুই। একটা ক্ষমাহীন নির্দয় বছর।”
This year will take it all.
Parents, legends, childhood, nostalgia. All of it. Merciless year.— Swastika Mukherjee (@swastika24) November 15, 2020
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি প্রয়াত অভিনেতার ছবি দিয়ে লিখেছেন, “ভালো থেকো সৌমিত্র চ্যাটার্জী”। কালীপুজোর পরের দিন এই সংবাদে কার্যত শোকস্তব্ধ টলিউড।
Bhalo theko #SoumitraChatterjee pic.twitter.com/fntwB5hr2o
— Mimssi (@mimichakraborty) November 15, 2020
চলতি বছরেই কয়েক মাস আগে নিজের বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী। বেশ কিছুদিন রোগ ভোগের পর তাঁর বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায় মার্চ মাসে প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তাঁর মৃত্যুতেও ভেঙে পড়েছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জী। এবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু সংবাদেও মুহ্যমান তিনি।
বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্র জগতে অভিভাবক স্বরূপ। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। প্রথমে তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার জেরেই বেলভিউ ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে কিছুদিন পর করোনা মুক্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় নি। গতকালই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। মাল্টিপল অর্গান ফেলিওর হয়েছিল অভিনেতার। চিকিৎসায় কোনো রকম সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন একমাত্র মিরাকলই বাঁচাতে পারে অভিনেতাকে। কিন্তু সেই মিরাকল হয় নি। দীপাবলির আমেজের মাঝে চলচ্চিত্র জগতের আলো নিভিয়ে দিয়ে চলে গেলেন ফেলুদা।