মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সৈয়দের শাস্তি ঘোষণা, ১০ বছর কারাদন্ড পাকিস্তানে

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন তিনি, সেই সূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের অধরা অপরাধীদের তালিকায় প্রথম সারিতে আছেন হাফিজ সইদ। কিন্তু চেষ্টা করেও পাকিস্তানের এই জঙ্গি নেতাকে নিজেদের কবলে পায় নি ভারত। একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁর শাস্তি নিশ্চিত করলেও হাফিজ সইদকে পাকিস্তান ভারতের হাতে তুলে দেয় নি।
মুম্বাই হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে ভারতের হাতে তুলে না দিলেও পাকিস্তান অবশ্য একাধিক বার কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছে জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের। সূত্রের খবরে জানা গেছে, এদিন দুটো নতুন সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে হাফিজ সইদের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে পাকিস্তানের একটি কোর্ট।
বস্তুত, হাফিজ সইদ নামে ওই ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবা দলের অন্যতম সংস্থা জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে এর আগেও পাকিস্তানের আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দিয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই হাফিজ সইদ এবং তাঁর কিছু অনুচরকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এবার ফের জঙ্গি হামলার অভিযোগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে পাকিস্তান। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআই সূত্রের খবরে জানানো হয়েছে, “লাহোরে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত বৃহস্পতিবার হাফিজ সইদকে আরো দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে।”
হাফিজ সইদের সঙ্গে এদিন আরো যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাঁরা হলেন জাফর ইকবাল, ইয়াহা মুজাহিদ এবং আবদুল রহমান মাক্কি। গত বছরের জুলাই মাসে হাফিজকে পাকিস্তানের তলফ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অনেকের মতে তুমুল আন্তর্জাতিক চাপে পড়েই হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান সরকার। বর্তমানে লাহোরের উচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট কোট লাখপত জেলে রাখা হয়েছে জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদকে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই শহরের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন হাফিজ সইদ। মাত্র ১০ জন জঙ্গি মিলে সেদিন প্রায় ১৬৬ জন সাধারণ মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল। আহত হয়েছিলেন আরো শতাধিক। এছাড়াও হাফিজ সইদ ইউনাইটেড নেশন এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও বিশ্বমানের জঙ্গি হিসেবে পরিচিত। তাঁর মাথার দাম প্রায় দশ মিলিয়ন ডলার।