হাথরাসে ধর্ষণ হয় নি, পুলিশের দাবিকেই সমর্থন ফরেনসিক রিপোর্টের

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: হাথরাস কান্ডে নয়া মোড়। হাথরাসের ওই তরুণীর সঙ্গে ধর্ষণ হয় নি, এমনটাই দাবি করা হল ওই ঘটনার চূড়ান্ত ফরেন্সিক রিপোর্টেও। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, তরুণীর গোপনাঙ্গে ‘পেনিট্রেশন’-এর কোনও চিহ্ন নেই। এমনকি মেলেনি বীর্যও। অর্থাৎ গণধর্ষণ তো দূরের কথা, ধর্ষণই হয়নি হাথরাসে।
এদিন হাথরাস কান্ডের চূড়ান্ত ফরেন্সিক দলের এই রিপোর্ট সামনে আসতেই ফের নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রশাসনের দাবিতেই কার্যত শিলমোহর দিয়ে দিল এই রিপোর্ট। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলির খবর অনুযায়ী আগ্রার ফরেনসিক ল্যাবের চূড়ান্ত এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে পেনিট্রেশনের কোনও চিহ্ন মেলেনি। তবে শারীরিক নিগ্রহের প্রমাণ রয়েছে। ঘাড়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।” শুধু তাই নয়, ফরেনসিক নমুনায় বীর্যেরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে। আগ্রার ফরেন্সিক ল্যাব থেকে সাদাবাদ পুলিশ স্টেশনের সার্কেল অফিসারকে উক্ত রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এই রিপোর্টই আদালতে পেশ করা হবে।
বস্তুত, হাথরাস কান্ডের প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, যৌনাঙ্গে পেনিট্রেশনের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানেই চূড়ান্ত রিপোর্ট সম্পূর্ণ বদলে গেল। এই ঘটনার ময়না তদন্তের রিপোর্টেও ধর্ষণ না হওয়ার কথাই বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার ভিসেরায় কোনো বীর্যের উপস্থিতি ছিল না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৪ই সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাথরাস গ্রামের উনিশ বছর বয়সী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল চার জন তথাকথিত উচ্চ বর্ণের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার ১৫ দিন পর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ আধিকারিক প্রশান্ত কুমার দাবি করেছিলেন, তরুণীর ধর্ষণই হয়নি। জাতপাতের রাজনীতি করার জন্যই কেউ কেউ তথ্যবিকৃতি করছে। ওই তরুণীর ঘাড়ে ও পিঠে আঘাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণের গুজব রটেছে মাত্র। পুলিশের সেই দাবিকেই সমর্থন করা হল চূড়ান্ত ফরেন্সিক রিপোর্টে।