“শ্বাসরোধ করে খুন,ধর্ষণই হয়নি!” ময়না তদন্তের রিপোর্ট ঘিরে বিতর্ক হাথরাস কান্ডে

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:হাথরাস গণধর্ষণ কান্ডে ধর্ষণই হয়নি, ময়না তদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই তুলকালাম দেশ জুড়ে। “গলায় ফাঁসের দাগ, শ্বাসরোধ করে খুন!” – মূলত মৃত্যুর কারণ হিসেবে এই দুটি বিষয়েরই উল্লেখ করা হয়েছে হাথরাস কান্ডের নির্যাতিতা তরুণী মনীষা বাল্মীকির ময়না তদন্তের রিপোর্টে। সেখানে চিকিৎসকরা কোথাও ধর্ষণের উল্লেখই করেননি, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্রের খবরে।
বৃহস্পতিবার হাথরাসের নির্যাতিতা দলিত তরুণীর এহেন ময়না তদন্তের রিপোর্টের কথা সামনে আসতেই ক্রমে বিস্ময় ছড়াচ্ছে নানা মহলে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে মৃত ওই তরুণীর ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় আজ। সেই রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের কোনো উল্লেখই করা হয় নি। এই রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু মাত্র গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার কথা বলা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনা। কেন ধর্ষণ বা নির্যাতনের নামোল্লেখ পর্যন্ত করা হল না রিপোর্টে, উঠছে প্রশ্ন।
এর আগেও হাথরাস কান্ড নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুর পর সেদিনই গভীর রাতে তরুণীর পরিবারের বিনা অনুমতিতে, গোপনে সৎকার করা হয়েছে মৃতদেহ। পরিবারের কাউকে ধারে কাছেই ঘেঁষতে দেয় নি পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ যোগীরাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে।পুলিসের রিপোর্টে অবশ্য উল্লেখ ছিল, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয় ওই তরুণীকে। ধস্তাধস্তির সময় তাঁর জিভের একাধিক জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। দুটি পা ও একটি হাতে কোনও সাড় ছিল না বলেও জানান চিকিৎসকরা। মৃত্যুর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বয়ানে ধর্ষকদের নামও বলে গিয়েছেন সেই তরুণী। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখই নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ই সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাথরাস গ্রামের উনিশ বছর বয়সী দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করে চার উচ্চ বর্ণের অভিযুক্ত। দিল্লির হাসপাতালে টানা ১৫ দিন লড়াই করে অবশেষে মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, ক্ষোভে উত্তাল হয় দেশ। কিন্তু কেন পরিবারের হাতে দেহ না তুলে দিয়ে গোপনে সৎকার করার দরকার পড়ল পুলিশের? কেনই বা ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হল না ধর্ষণের? নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়ে ক্রমে জটিল হচ্ছে হাথরাস কান্ড।