
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: কৃষি বিল নিয়ে রবিবার রাজ্যসভায় তুমুল গণ্ডগোলের ঘটনায় বরখাস্ত করা হল বিরোধী দলের ৮ জন সাংসদকে। তাঁদের মধ্যে আছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেনও। আর এই সাংসদ বরখাস্ত নিয়ে টুইটারে সরব হলেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
BJP की तानाशाही नहीं चलेगी। #BJPkilledDemocracy https://t.co/iCm8Nnxm50
— Nusrat Jahan Ruhi (@nusratchirps) September 21, 2020
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ বরখাস্ত নিয়ে প্রতিবাদের টুইটের পরই নুসরত সেখানে রিটুইট করে হিন্দিতে বলেন, ‘বিজেপির একনায়কতন্ত্র চলবে না।’ এর আগেও তিনি ডেরেক ও’ব্রায়েনের একটি ভিডিও শেয়ার করে টুইট করে লিখেছিলেন, ‘খুব অদ্ভুত লাগল বিজেপি সংসদ সদস্যরা যেভাবে প্রতিবাদ শুরু করলেন। স্পষ্টতই, তাদের কোনও নৈতিকতা এবং বিবেক নেই, এবং তারা তাঁদের ভুল কাজের বিরুদ্ধে প্রতিটি আওয়াজকে নীরব করতে নরক প্রমাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। সংসদে এ জাতীয় সংসদ সদস্য থাকা একেবারে লজ্জাজনক।’ এর আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টুইটে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। তবে মাঝে মাঝেই তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কারণে ট্রোলের মুখেও পড়তে হয়েছে।
Ironic to see that @BJP4India MPs started protesting against @derekobrienmp. Clearly, they have no ethics and conscience left, and they are hell-bent on silencing every voice against their wrong doings. Absolutely shameful to have such MPs in the parliament!#BJPKilledDemocracy https://t.co/ktB7goC8xD
— Nusrat Jahan Ruhi (@nusratchirps) September 21, 2020
প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যসভায় কৃষি বিল পেশ করার পরই বিরোধী সাংসদরা প্রবল বিক্ষোভ শুরু করেন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজোয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘চাষিদের জন্য মৃত্যু পরোয়ানায় সই করবে না কংগ্রেস।’ এরপরই রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসও। এই পরিস্থতিতে সোমবার এক সপ্তাহের জন্য বরখাস্ত করা হয় ডেরেক ও দোলা সেনকে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন নাজির হুসেন, সঞ্জয় সিং, রাজীব সাতভ, কে কে রাগেশ, রিপুন বেরা, এবং এ করিমও। রবিবার বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল সংসদের কাজ। সংসদে এ ধরনের বিক্ষোভের তীব্র নিন্দা করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রা রাজনাথ সিং। যদিও এই অশান্তির মধ্যেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় কৃষিবিল।