বিজেপির দেশ বিক্রি আর চৈত্র সেলের মধ্যে তফাৎ নেই, ফের বিস্ফোরক নুসরাত

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির বেসরকারিকরণের নীতি নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরত জাহান। একের পর এক বেসরকারিকরণের ঘটনার উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় শাসক দলকে তীব্র বিদ্রুপ করেছেন একাধারে টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের নবীনা সাংসদ নুসরত জাহান।
এদিন “বাংলার গর্ব মমতা” নামক তৃণমূল কংগ্রেসের একটি ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, “বিজেপির দেশ বিক্রি আর চৈত্র সেলের মধ্যে তফাৎ নেই। ” এরই সঙ্গে ট্যুইটে জোড়া হয় সাংসদ নুসরতের একটি ভিডিও বার্তা যেখানে কেন্দ্রীয় শাসক দলের নীতির কড়া সমালোচনা করেন অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক অতীতে শাসকদলের বেসরকারিকরণের নীতির ফলে বিক্রি হয়ে যাওয়া সংস্থা গুলির লম্বা তালিকা উল্লেখ করে নুসরত জানান, এতে তিনি আতঙ্কিত। পাশাপাশি, তাঁর আশঙ্কা, এবার হয়তো গোটা দেশটাই বিক্রি হয়ে যাবে। দেশবাসীকে এ বিষয়ে তিনি সাবধানও করে দিয়েছেন। নুসরত বলেছেন, “রেলওয়ে বিক্রি হয়ে গেছে,এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি হয়ে গেছে,কোল ইন্ডিয়া বিক্রি হয়ে গেছে, এবার কিন্তু ভারতবর্ষও বিক্রি হয়ে যাবে। খুব শিগগিরই। খুব সাবধান।”
বিজেপির দেশ বিক্রি আর চৈত্র সেলের মধ্যে তফাৎ নেই। কী বললেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ সাংসদ নুসরত জাহান? আসুন শুনে নিই |
There is no difference between Chaitra Sale and BJP selling out the country! What did AITC MP @nusratchirps Jahan say on @BJP4India?#BJPSellsIndia pic.twitter.com/mwel6zsDci— Banglar Gorbo Mamata (@BanglarGorboMB) September 28, 2020
বস্তুত, সম্প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আরো ভালো ও উন্নত পরিষেবা প্রদানের কথা জানিয়ে বেশ কিছু সরকারি সংস্থা বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের এই পরিকল্পনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশের অভ্যন্তরে মানুষের মধ্যে। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, কিন্তু অনেকেই মনে করেছেন সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণের এই নীতি ভ্রান্ত। এতে সাধারণ মানুষের দুর্দশা আরও বৃদ্ধি পাবে। স্বভাবতই সরকার বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির চরম বিরোধিতা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরতও হেঁটেছেন সেই পথেই।
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, “ভারতবর্ষকে আমরা বিক্রি হয়ে যেতে দেব না। এটা আমাদের জন্মভূমি। এর উপর আমাদের সম্পূর্ণ অধিকার আছে। এই মানুষগুলোর বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবই।” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের এই কটাক্ষ এবং তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান আরো একবার উস্কে দিল দুই দলের সংঘাত।