
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: বিহার ভোট গণনার উত্তেজনা কার্যত পশ্চিমবঙ্গেও বাজিয়ে দিয়েছে ভোটের দামামা। আর তাই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির বাক যুদ্ধে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে চলেছে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এবার বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তেজস্বী সূর্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন নুসরাত।
সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য কলকাতা ও হাওড়ার পুলিশ কমিশনার-সহ রাজ্যের কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জমা দেন। তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্পিকার। তেজস্বী সূর্য রাজ্য সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যকে বিঁধে এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নুসরাত লেখেন, “হাস্যকর কথাবার্তা বন্ধ করে নিজে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান, দেখুন কারা আসল ফ্যাসিস্ট।” শুধু তাই নয়, এরপর নুসরাতের সংযোজন, “২০১৪ সাল থেকে দেশকে ধ্বংসের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আপনার বস বিজেপি।”
Mr @Tejasvi_Surya, instead of making ridiculous statements, run to a mirror right now to figure out who the real fascists are. It's your bosses at @BJP4India who have destroyed this country with their autocracy and politics of hate since 2014! https://t.co/SdzVP6k66B
— Nusrat Jahan Ruhi (@nusratchirps) November 9, 2020
বস্তুত, মাসখানেক আগে বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে হাওড়া এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং দক্ষিণ ব্যাঙ্গালোরের লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। সেই অভিযোগেরই পাল্টা দিলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। বারবার পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সরকারকে ‘স্বৈরতন্ত্রী’, ‘ফ্যাসিস্ট’ বলার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপিই ঘৃণার রাজনীতি দিয়ে দেশে স্বৈরতন্ত্রের বীজ বুনেছে এবং দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর কলকাতায় বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান চলাকালীন রীতিমত রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল রাজ্যের পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষ বাঁধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। করা হয় লাঠিচার্জও। যুব মোর্চার বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন সেদিন। প্রশাসনের এই আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায় রাজ্য বিজেপি।