‘জননেত্রী হিসেবে উনি সবার চেয়ে আলাদা’, মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে পিএইচডি শেষ করে বললেন যুবক


মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন সরগরম রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এক দিকে যেমন গত লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যকে হাতিয়ার করে মসনদ দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি, অন্যদিকে তেমনই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূলও। এই ভোট পূর্ববর্তী উত্তপ্ত আবহে এবার সামনে এল এক অদ্ভুত খবর।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের গবেষণা করলেন রাজ্যের এক যুবক। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি ওই যুবক পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন, আর তাঁর পিএইচডির বিষয় ছিল বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু পিএইচডি করেই থেমে থাকতে নারাজ তিনি। একুশের মহারণের আগেই নিজের গবেষণার থিসিস পেপার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান তিনি। কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এই ধরণের গবেষণা নিঃসন্দেহে বিরল।
জানা গেছে, পিএইচডি করা ওই যুবকের নাম রেজাউল ইসলাম মোল্লা। তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার হাতিপোতা গ্রামের এক নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারের ছেলে। নিজের গবেষণার থিসিস মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই নির্বাচনী আবহে রাজ্যের মানুষের সামনেও তুলে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রেজাউল ইসলাম মোল্লা। তাঁর এই ইচ্ছা বাস্তবায়িত হলে যে ভোট পূর্ববর্তী রাজ্যের রাজনীতিতে তা আলাদা মাত্রা যোগ করবে, তা বলাই বাহুল্য।
কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিলেন রেজাউল? তিনি জানিয়েছেন,”ছাত্রাবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন দেখেই সিদ্ধান্ত নিই ‘লিডারশিপ’ নিয়ে যদি রিসার্চ করি, তবে তৃণমূলনেত্রীকে নিয়েই কবর।” এখানেই শেষ নয়, রেজাউল আরো জানিয়েছেন, গবেষণার প্রয়োজনে ভারতের সমস্ত মহিলা জন নেত্রীদের তথ্য নিয়েই ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন তিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তাঁর শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে।
বস্তুত, নিজের এই বক্তব্য তথ্য-সহ নিজের গবেষণায় তুলে ধরেছেন রেজাউল। তিনি জানান, সাড়ে পাঁচ বছর ধরে গবেষণা কাজ চালিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে তৃণমূলনেত্রীর যে চিন্তা-ভাবনা রয়েছে, তা অন্য নেতা-নেত্রীর মধ্যে দেখা যায় না।
সূত্রের খবর, গত ২১ ডিসেম্বর ইউজিসি-র থেকে ফেলোশিপও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেজাউল। তাঁর রিসার্চ পেপার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি গবেষণার বিষয়বস্তু বাংলায় এবং ইংরেজিতে বই আকারে প্রকাশ করারও ইচ্ছে রয়েছে।

