‘বামেরা আসলে ইসলামিক রাষ্ট্রের পক্ষে’, জোট নিয়ে বিস্ফোরক প্রবীর ঘোষাল

অর্পন চক্রবর্তী, হুগলি: হুগলি জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যপদ এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে গত ২৬ শে জানুয়ারি ইস্তফা দেওয়ার পর বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন প্রবীর ঘোষাল। আর তারপর দাদার অনুগামী হয়ে ভোটযুদ্ধের প্রচারে নামেন তিনি। এইবার ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তিনি। তার ভোট প্রচার শেষ রেজাল্ট হাতে পেতে এখন অপেক্ষা করতে হবে ২ রা মে অবধি,তবে আত্মবিশ্বাসী প্রবীর বাবু মহানগর বার্তার প্রতিনিধির কাছে জানালেন গোটা পশ্চিমবঙ্গে যা হয়েছে উত্তরপাড়া বিধানসভাতেও তার ব্যতিক্রম হবে না,সব জায়গাতেই পরিবর্তন হবে।
২০১৬ সালে প্রবীর ঘোষাল লড়েছিলেন সিপিএমের সাথে কিন্তু এইবার রাজ্য রাজনীতিতে মেরুকরণ হওয়ায় লড়াইটা হয়ে গেছে তৃণমূল বনাম বিজেপির। এই প্রতিদ্বন্দিতা কি বিজেপির কাছে সুবিধাজনক নাকি অসুবিধার? এই প্রসঙ্গে প্রবীর বাবু বলেন-“ঐ টা আসল কথা বলে দিয়েছো মেরুকরণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একটা মেরুতে চলে এসেছে আর ওরা আলাদা একটা মেরুতে পড়ে আছে। আসল মেরু টা হচ্ছে পরিবর্তনের মেরু সেটা তৈরি হয়ে গেছে।”
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে যে বামেরা বিজেপিকে ভোট পেতে সাহায্য করছে। বাম বিজেপি আঁতাতের এই দাবিকে ধুলিস্যাৎ করে প্রবীর বাবু জানান-“বামেরা তো দাঁড়িয়েছে বিজেপিকে হারাবে বলে। তৃণমূল বিরোধী ভোট কাটবে বলে। ওরা একেবারে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে। কোন চক্রান্তে কিছু হবে না। আসলে গণজাগরণ হলে যা হয়।”
দিকে দিকে পুরোনো বামপন্থীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এটা বামপন্থীদের নৈতিক অবক্ষয় হলেও অন্য দিক থেকে দেখতে গেলে বামেদের জন্যই বিজেপির সংগঠন আজ মজবুত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে প্রবীর বাবু বলেন যে বামেরা যে ধর্ম নিরপেক্ষ নয় তা বোঝার পরেই বামপন্থীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রবীর বাবুর কথায় -“বামেদের যারা ভক্তি শ্রদ্ধা করতো তাদের একটা বড় অংশ বুঝতে পেরেছে যে এদের সবটাই ভেক। এই যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির একটা ভোট বেড়েছে তার মধ্যে বামভোট একটা বিরাট ভাবে এসেছে আর এই বারের ভোটে দেখবেন সেটা আরো বেড়ে যাবে। কারণ বামেদের আর একটা দিক ধরা পড়েছে যে তারা আসলেই ইসলামিক রাষ্ট্রের পক্ষে এই সব ভাইজানের ফলে। সেইটা অনেক বামপন্থী মানুষ মেনে নিতে পারছেন না” প্রবীর বাবুর আরও বক্তব্য দেন-“ধর্মের কথা বলছে যারা, প্রকাশ্যে যারা মুসলিম ধর্মের কথা বলছে তারা কি করে ধর্মনিরপেক্ষ হয়? সবাই দেখেছে তো ব্রিগেডের মিটিং টাই ভাইজানকে নিয়ে কি হয়েছে, এত লুকোছাপার গল্প নয়।”