যুবরাজের ট্রাম্পবিরোধী মন্তব্যের জের, রাজপরিবার থেকে কি এবার তবে বহিষ্কৃত হবেন হ্যারি?

মহানগর বার্তা ওয়েব ডেস্ক: ব্রিটেনের রাজপরিবারের বিরুদ্ধে এবার ‘চুক্তি’ ভঙ্গের অভিযোগ উঠল। যুবরাজ হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেঘান মার্কেল আমেরিকার একটি পত্রিকার আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কিছু মন্তব্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। শোনা যাচ্ছে, তাঁদের মন্তব্য ছিল ট্রাম্প বিরোধী।
যুবরাজ হ্যারি এবং মেঘান মার্কেল আসন্ন আমেরিকান নির্বাচনকে বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন বলে উল্লেখ করেন।তাঁদের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রাসাদ থেকে তাঁরা একটি ভিডিও বার্তায় যোগ দেন। এই ভিডিওতে তাঁরা “বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে” আমেরিকাবাসীর কাছে “বিদ্বষমূলক বক্তৃতা, ভুল তথ্য এবং নেতিবাচক মনোভাব” বর্জন করার অনুরোধ করেন। আগামী ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে আমেরিকাবাসীকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপসারণের পক্ষে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে বলেন। তাঁদের এই মন্তব্যে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অভ্যন্তরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার পর এখনো পর্যন্ত বাকিমহাম প্যালেস তাঁদের এই বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করে নি। তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রাজ পরিবারের অভ্যন্তরে এবার ক্ষমতা হ্রাস পাবে যুবরাজ ও যুবরাজপত্নীর?
বস্তুত, যে কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে রাজপরিবারের সদস্যদের পক্ষপাতহীন হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ভিডিওতে একথা স্বীকারও করেন হ্যারি। তিনি জানান, এই কারণেই তিনি নিজে কখনো ব্রিটেনের নির্বাচনে অংশ নেন নি। গত মার্চ মাসে ব্রিটেন ছেড়ে প্রবাসে যাওয়ার সময় তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তাঁদের কার্যকলাপ সর্বদাই মহারানীর মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখবে।
সূত্রের খবর, এই শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে যুবরাজদের বক্তব্যে। শোনা যাচ্ছে, ব্রিটিশ রাজ পরিবার যুবরাজদের এহেন আচরণে যারপরনাই বিরক্ত ও লজ্জিত। একে তাঁরা ট্রাম্পের অপমান হিসেবেই দেখছেন। “যদি ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হন এবং তারপর ব্রিটেনে আসেন, তাঁকে মহারানী কী জবাব দেবেন?” সূত্রের খবর।
হোয়াইট হাউস প্রেস কনফারেন্সে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ভিডিওর কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি বিশেষ কিছু বলতে চাই না। তবে হ্যারির জন্য অনেক শুভকামনা রইল।”