‘মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক দোষের কিছু না’, মর্গের মৃতদেহ ধর্ষণের পর দাবি যুবকের

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণের জঘন্যতম অপরাধের জেরে শিরোনামে আসে অভিযুক্ত
মুন্না ভগতের নাম। এই নির্মম অপরাধের প্রমাণ সামনে আসার পর সারা দেশের মর্গগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে সিআইডি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আটককৃত মুন্না ভগত জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মুন্না তার এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্পষ্ট জানায়, কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করলেও সে কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নয় বলে জানায়। এবং বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে, মুন্না আরো বলে রাতে মর্গে সে একাই থাকত। নিরিবিলি পরিবেশ এবং কোনো লোকজন না থাকার সুযোগকেই সে কাজে লাগিয়েছে। নিজের এই জঘন্য ঘটনার সাফাইয়ে সে বলে, ‘মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক দোষের কিছু না।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে হাইকোর্ট এক আদিবাসী নারীর অপমৃত্যু মামলার রায়ে এক ঐতিহাসিক নির্দেশ দেন, কোনো নারীর অপমৃত্যু হলে তাদের যৌনাঙ্গ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে হবে অর্থাৎ দেখতে হবে অপমৃত্যুর আগে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা। এই নির্দেশের পর থেকেই সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব আদালতের নির্দেশ মেনে আসছে। এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামলে সিআইডি জানতে পারে, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গের মূল ডোম রজত কুমার, তাকে সহায়তা করে আরও ৫/৬ জন। তার মধ্যে রজতের ভাগ্নে মুন্না ভগত রাতে মর্গের পাশেই একটি কক্ষে থাকে। সিআইডির সন্দেহ ক্রমশ জোরালো হয় মুন্নার ওপরেই। তারপরই গুমের শিকার হওয়া এক যুবকের পরিজন সেজে মুন্নার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন সিআইডির দুই কর্মকর্তা। এরপরই সামনে আসে অভিযুক্ত মুন্নার এই নারকীয় ঘটনা।