
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার রিয়া চক্রবর্তীর পরিবারের তরফে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। এর আগে জামিনের আবেদন খারিজ হয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরফে। এবং ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। জেলে সেলিব্রিটি খেতাবের জন্য বিশেষ কোনো জায়গা মেলেনি তার। জেলের ভিতর কড়া নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। তিনটে শিফটে দু’জন করে রক্ষী সর্বক্ষণ রয়েছেন তাঁর পাহারায়। নিরাপত্তার খাতিরে একাই একটি সেলে রাখা হয়েছে রিয়াকে।
এমনকি আজ একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তরফে সামনে আসে রিয়ার জেলে কাটানোর সময়টি। জানা যায় ব্যবহার করার পাখা এমনকি শোয়া বসার বিছানা টুকুও পাননি তিনি। এই খবর ট্যুইটে প্রকাশিত হতেই প্রবল আলোড়ন ফেলে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। অনেকে দাবি করেন রিয়া এখনও দোষী প্রমাণিত হননি এখনই তার সাথে এরুপ আচরণ করা ঠিক নয়। কেউ রিয়ার পরিস্থিতির ওপর কটাক্ষও করেছেন, সরাসরি এই ঘটনার জন্য রিয়াকেই দায়ী করেছেন।
অভিনেত্রীর গ্ৰেফতার প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর উপপরিচালক, মুথা অশোক জৈন জানান
‘আমরা তাঁকে বুঝেশুনে গ্রেপ্তার করেছি, কারণ আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে তাঁকে কয়েক দিন আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমাদের আর জিজ্ঞাসাবাদের দরকার নেই।’
এছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর উপপরিচালক (অপারেশনস) কেপিএস মালহোত্রা বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং অন্য আসামির বক্তব্যের ভিত্তিতে তারা রিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিয়ার পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে একই সংস্থার উপমহাপরিচালক মুথা অশোক জৈন বলেন, ‘আমরা তাঁকে বুঝেশুনে গ্রেপ্তার করেছি, কারণ আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে তাঁকে কয়েক দিন আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমাদের আর জিজ্ঞাসাবাদের দরকার নেই।’
তবে এবিষয় রিয়া চক্রবর্তীর বাবা, ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী বলেন ‘কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই কীভাবে গোটা দেশ রিয়াকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছে? কোনো বাবাই মেয়ের প্রতি এমন অন্যায়–অবিচার সহ্য করতে পারে না! আমার মরে যাওয়া উচিত।’