
মহানগর বার্তা ওয়েব ডেস্কঃ যন্ত্র আর প্রযুক্তিকে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে সেটা বিজ্ঞানের আশির্বাদ হয়েই মানবজীবনকে সুন্দর করে তোলে। রোবটিকস্ সায়েন্স নিয়ে গবেষণারও অন্ত নেই। বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল হিসাবে বহুবারই মানুষ পেয়েছে অনেক সুফল তেমন কুফল। তবে এবার রোবটিকস্ সায়েন্সে অভূতপূর্ব কীর্তি তৈরি হয়েছে খোদ কলকাতায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আপনি যা ভাববেন রোবটই আপনার ইচ্ছাশক্তির বাহক হয়ে সেই কাজ করে দেবে অনায়াশে।
এক বিশিষ্ট সাংবাদমাধ্যমের তরফে সামনে আসে এই তাক লাগানো আবিষ্কার। যাদবপুরের রোবটিকস বিভাগে তিনটে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চলছে। প্রথমত, আপনি যা ভাববেন সেইমতোই কাজ করবে রোবট। দ্বিতীয়ত আপনার যা করবেন তার হুবুহু নকল করবে রোবট আর তৃতীয়ত, মানব মস্তিষ্কের চিন্তার প্রতিফলন দেখা যাবে কম্পিউটারে।

বিশিষ্ট সাংবাদমাধ্যমের তরফে আরো জানা যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে রয়েছে জ্যাকো রোবট আর্ম। মানব মস্তিষ্কের আদেশানুসারে এই জ্যাকো আর্ম সব কাজ করে দেয়। ধরা যাক কোন ব্যক্তির হাত নেই অথবা কোনো কারণে হাত অকেজো; তাঁর শরীরে এই জ্যাকো আর্ম লাগিয়ে দিলে সে তার ইচ্ছানুযায়ী সব কাজ দেবে। যাদবপুরের গবেষকরা দেখাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাথায় থাকবে একটা ক্যাপ। এবার তিনি যেটা ভাববেন, সেই ভাবনার প্রতিফলন হবে কম্পিউটারে। কম্পিউটার জ্যাকো আর্ম’কে নির্দেশ দেবে কাজটি করার জন্য, সেই জ্যাকো আর্ম তখন কাজটি করবে। অধ্যাপক অমিত কোনারের তত্বাবধানেই এই গবেষণা চলছে। তিনি বলেন “কোনো ব্যক্তির হাত ভেঙে গেলে বা হাতের নিউরোন নষ্ট হয়ে গেলে, এই রোবটই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভাবনা অনুযায়ী সব কাজ করে দেবে”।
যাদবপুরের আরেক গবেষক অর্ণব রক্ষিত বানিয়ে ফেলেছেন আরেকটি রোবট, যেখানে মানুষ যা করবে সেও হুবুহু সেটার নকল করবে। এই রোবট দেখে রীতিমতো উত্তেজিত গবেষক মহল। অর্ণবের কথায় “প্রচন্ড গরমের কোনো জায়গা বা এমন কোনো জায়গা যেখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে সেখানে গিয়ে কাজ করে আসতে পারবে এই রোবট”।
যাদবপুরের রোবটিকস্ বিভাগের এই অভূতপূর্ব আবিষ্কার ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে দেশ-বিদেশের গবেষক মহলে। একটি বিখ্যাত মার্কিণ জার্নালে এই বিষয়ে লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের আপাতত পাখির চোখ, এই গবেষণাকে মানুষের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে

