“সাংবাদিকরাই তুলেছেন মহুয়া মৈত্রকে”, দুঃখ প্রকাশের দাবি জানিয়ে সরব রুদ্রনীল ঘোষ

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের প্রতি মহুয়া মৈত্রের অপমানজনক মন্তব্য নিয়ে জারি তরজা। তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা জি ২৪ ঘন্টার তরফে মহুয়া মৈত্রকে বয়কটের ডাকও দেওয়া হয়েছে। সেই আবহেই এবার সাংসদের সমালোচনায় মাতল টলিউডও।
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন, সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও ওই পোস্টে মহুয়া মৈত্রের প্রতি বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এদিন তিনি লিখেছেন, “Sorry বললে মানুষ ছোট হয় না, বড় হয়।” শুধু তাই নয়, অন্য একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “অহংকারের রোদ চশমায় আঁধার হল দেশ, সবার কাছে ভরসা আজও ‘দু পয়সার প্রেস”।
বস্তুত এদিন এবিপি আনন্দের তরফ থেকে রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, “ওনাকে (মহুয়া মৈত্র) আমরা যুক্তিবাদী বলেই জানি। সেটাও কিন্তু এই মিডিয়ার জন্যেই। তাঁর রাজনৈতিক performance মানুষের কাছে তুলে ধরতে মিডিয়ার ভূমিকা ভয়ঙ্কর গুরুত্বপূর্ণ। উনি যেভাবে কথা বলেন, যেভাবে ট্যুইট করেন, আমি জানতে পারি উনি নিজের বক্তব্য বিষয়ে অনড়। আমার মনে হয়েছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ওনার কাছ থেকে এটা অনভিপ্রেত। এভাবে যদি উনি অনড় থাকেন তাহলে এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই।” এরপর তিনি বলেন “ওনার একবার Sorry বলে দেওয়া উচিত। sorry- র মতো শিক্ষিত শব্দ পৃথিবীতে নেই।”
কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এ ব্যাপারে বলেন, “সংবাদমাধ্যমকে এই ধরণের শব্দ প্রয়োগে বিদ্ধ করা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং প্রতিবাদযোগ্য। উনি আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করবেন বলে আমি আশাবাদী।” দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিষ সুরও। নাট্য পরিচালক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “রাজনৈতিক নেতাদের ঔদ্ধত্য ক্রমশ বাড়ছে। সাংবাদিকতাকে যিনি ছোট করছেন তিনি একটু সাংবাদিকতা করে দেখুন, আমার মনে হয়।”
মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যকে সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা জয়জিৎ মুখার্জীও। তিনি লিখেছেন, “গাছের ফল ফুল মালি কোনোটাকেই নেওয়া যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের নির্লজ্জের মতো অপমান করার প্রবণতাকে ধিক্কার জানাচ্ছি।”