নির্ভয়ার আইনজীবীকে ঢুকতে দিলোনা যোগী পুলিশ, ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হাথরাস

হাথরাস: হাথরাস কাণ্ডে আরেক অভিযোগের মুখে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডে নির্ভয়ার আইনজীবী সীমা কুশাওয়া গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হাথরাসে গিয়ে পৌঁছলেও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়নি। কোনো কারণ না দেখিয়েই সীমাকে আটকে দেওয়া হয় নির্যাতিতার বাড়ির আগেই।
সুপ্রিম কোর্টের সফল আইনজীবী সিমা কুশাওয়া এরপর সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন “নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে আমি হাথরাস থেকে যাব না। তারা (নির্যাতিতার পরিবার) আমাকে অনুরোধ করেছেন আইনি সাহায্যের জন্য, কিন্তু প্রশাসন আমাকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেনা।” তিনি এও জানান নির্যাতিতার ভাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
সীমা কুশাওয়া দীর্ঘ সাত বছর ধরে আইনি লড়াই লড়ে দিল্লি নির্ভায়া কান্ডে নিশংস গণধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত তরুনীর পরিবারকে ন্যায় এনে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার এই লড়াইয়ের ফলেই চার অপরাধী- আকাশ সিং ঠাকুর, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংয়ের ফাঁসি হয়। যা গোটা দেশেই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদানের একটা দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই সীমা কুশাওয়া ঘোষণা করেছেন তিনি বিনা পয়সায় হাথরাসের দলিত পরিবারের ওই নির্যাতিতা তরুণীর হয়ে মামলা লড়বেন।
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের সিট গড়েছে। ইতিমধ্যেই হাথরাসে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসেছে সিট। যদিও সিটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমার গতকালই সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছেন যে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে গণধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তরুণীর মৃত্যু হয়েছে অত্যাচারের কারনে শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়ে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার পরিবার আদৌ কতটা ন্যায় বিচার পাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন নির্ভয়া কাণ্ডের আইনজীবী সীমা কুশাওয়া।