
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: ভারতে ৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম জি ডি পির গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী । ২৩.৯ এসে ঠেকেছে জি ডি পির হার। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন লোকসভায় দাঁড়িয়ে সর্বসম্মুখে বলেন যে, লকডাউনের এক ধাক্কায় এপ্রিল থেকে জুনে কেন্দ্রীয় সরকারের আয় প্রায় ২৯.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। উপরন্তু কেন্দ্র ১০০ টাকা কর বাবাদ আয় করলে রাজ্যগুলিকে তার ভাগ দিতে অনুদান বাবদ ১০৭ টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এবং মোদী সরকারের সংসার খরচের সবটাই নাকি চলছে একপ্রকার ধার করে।
নির্মলাদেবী এদিন সভায় আরও জানিয়েছেন, জি এস টি আদায়ের তহবিলে টাকা নেই। অ্যাটর্নি জেনারেল বলে দিয়েছেন, সরকারি কোষাগার থেকে জি এস টি ক্ষতিপূরণ মেটানো যাবে না, তাই তিনি রাজ্যকে ধার নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। জিএসটি পরিষদেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু রাজ্যকে অর্থসাহায্য করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ সম্পুর্ণ ভুল। কেন্দ্রের আয় এপ্রিল- জুনে ২৯.৫ % কমলেও রাজ্যকে দেওয়া করের ভাগ ১১% কমেছে।
এর আগেও রাজ্যের প্রাপ্য জি এস টির ক্ষতিপূরণ কেন্দ্র না মেটানোয় নির্মলা সীতারামনের দিকে আঙ্গুল তুলেছিল বিরোধী পার্টি সহ তার স্বামী ও। নির্মলা করোনা অতিমারিকে ‘ দৈব দুর্বিপাক’ বলায় তার স্বামী কটাক্ষ করে বলেন ‘ আসল দৈব দুর্বিপাক হল সুসংহত চিন্তাভাবনার অভাব ’। তাই এবার অর্থমন্ত্রী তাঁদের পরোক্ষ ভাবে জবাব দিয়ে বলেন, “ ল্যাটিনের আদলতে ‘ ফোর্স মেজিওর’ বললে সমস্যা নেই । আমি সংসারী মহিলা, পাড়ার আন্টির মতো। তাই ভাগবানের মার বলায় আমাকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। এটা ‘দৈব দুর্বিপাক’ ছাড়া কী?
শুক্রবার অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, কেন্দ্রের মোট দেনার বোঝা মার্চের শেষে ৯৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। তা জুন মাসের শেষে এসে দাঁড়িয়েছে ১০১.৩ লক্ষ কোটি টাকায় । অর্থাৎ ৭.৯ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে তাও মাত্র ৩ মাসে।