আরো তীব্র কৃষক আন্দোলন, টোল প্লাজা বন্ধের পর রিলায়েন্স বয়কটের ডাক সোশ্যাল মিডিয়ায়

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পাঞ্জাব হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে অসংখ্য কৃষক নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য পারি দিয়েছেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। দফায় দফায় সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও মেলেনি সমাধান সূত্র। আর তাই, এবার আন্দোলনে আরো কঠোর হলেন কৃষকরা।
কৃষকদের তরফ থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে তাঁরা এবার টোল প্লাজা গুলি বন্ধ করে দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। সেই কথা অনুযায়ী শনিবার দিল্লির চারদিকের রাস্তা আটকানো থেকে শুরু করে টোল প্লাজা বন্ধ করে দেওয়া, সবই শুরু করেছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। আর সেই সঙ্গে তাঁদের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে নতুন ট্রেন্ড, “BoycottAllRelianceProducts”. অর্থাৎ দেশের ধনীতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্স কোম্পানির সমস্ত দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা।
#PM_सुस्त_टोल_मुफ़्त#BoycottRelianceProducts
i_stand_with_farmers
✊✊✊ pic.twitter.com/L8LDaLHOOr— #i_stand_with_farmers (@SukhiMahal007) December 12, 2020
#12_दिसंबर_को_टोल_प्लाजा_बंद
We support farmers #BoycottRelianceProducts pic.twitter.com/1gXODEe5Tr— md Toushif (@MdToush77506104) December 12, 2020
#PM_सुस्त_टोल_मुफ़्त
boycottmodi ❌ toll free
retweet more and more 🌪🌪#BoycottRelianceProducts pic.twitter.com/KTo0Zdintz— #i_stand_with_farmers (@SukhiMahal007) December 12, 2020
শুক্রবারই কৃষকরা হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁরা টোল প্লাজাগুলি বন্ধ করে দেবেন, টোল সংগ্রহ করতে দেবেন না। সেই মতো রাত থেকেই হরিয়ানার অম্বালায় শম্ভু টোল প্লাজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বস্তারা টোল প্লাজাও বন্ধ করে দেওয়া হয় রাতেই। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা গেছে প্রতিবাদ। আম্বানি আদানি প্রমুখ সমস্ত ধনী শিল্পপতিদের বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেট নাগরিকদের একাংশ। কৃষকদের সঙ্গে সুর মিলিয়েই তাঁদের দাবি, শিল্পপতিদের সুবিধার জন্যেই বিতর্কিত কৃষি আইন এনেছে মোদি সরকার, তা আদেও কৃষকদের সাহায্য করবে না।
উল্লেখ্য, শনিবার ১৭ দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন। শুক্রবারই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে কৃষকদের পক্ষ থেকে। অন্য দিকে বিজেপির দাবি, এই আন্দোলনে এসে যোগ দিয়েছে কট্টরপন্থী বাম সংগঠন। তাঁরা আন্দোলনের অভিমুখ ঘোরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কৃষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে দিন দিন যেভাবে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে কৃষক আন্দোলন, তাতে রাজধানী দিল্লিকে সচল রাখতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের কপালেও।