ছেলের মৃত্যুর ১৮ বছর পরও কথা রাখেনি সরকার, কীর্তি চক্র পুরস্কার ফেরাল শহিদ পরিবার

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ ছেলে মারা গিয়েছে ১৮ বছর আগে। কিন্তু সরকার কথা রাখেনি পরিবারের আর তাই শহিদ ছেলের কীর্তি চক্র পুরস্কার ফেরানোর জন্য সোমবার হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
কাংড়া অঞ্চলের ওই পরিবার তাদের ছেলের বীরত্বের সম্মানকে ফিরিয়ে দিতে চান। কারণ ওই শহিদের সম্মান রক্ষা করতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছেন। ওই সৈনিকের পরিবারের দাবি না মানার জন্য সরকারকে এই কীর্তি চক্র ফেরত দিতে শিমলার রাজভবনে আসেন তারা। প্রসঙ্গত, বীরত্বের জন্য প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তির সামরিক পুরস্কার হল কীর্তি চক্র। এই বিভাগেরই সর্বোচ্চ সম্মান হল অশোক চক্র।
রাজ্যপাল বান্দারি দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করার আগে সৈনিকের মা রাজ কুমারি জানিয়েছেন যে তাঁর ছেলে অনিল চৌহান মাত্র ২৩ বছর বয়সে অসমে ‘অপরেশন রাইনো’ তে মারা যান। কাংড়া জেলার জৈসিংপুরের বাসিন্দা রাজ কুমারি জানান যে রাজ্য সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে একটি স্কুলের নাম অনিল চৌহানের নামে করা হবে এবং তাঁর স্মরণে গ্রামে তাঁর নামে গেট তৈরি করা হবে। অনিলের মা সহ তাঁর পরিবারের সদদ্যরা সোমবার রাজ্যপালের বাড়ি গিয়ে অনিলের পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে আসেন এবং জানান যে তাঁর ছেলের মৃত্যুর ১৮ বছর পরও সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর রাজ ভবনে পৌঁছে শহিদ অনিলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরিবারকে ফের আরও একবার প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে তিনি সম্প্রতি জানতে পারেন যে ১৮ বছর আগের সরকার এই পরিবারকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ওই পরিবারকে দ্রুত তাঁর দপ্তরে আসতে বলেন যাতে তাদের অভিযোগগুলির শীঘ্রই প্রতিকার হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে রাজ্যপালের দপ্তর থেকে তারা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে যাবে।