
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকমাস। এরই মধ্যে বাংলায় যে ভোটের দামামা বেজে গেছে দিন দিন তা আরো বেশি করে স্পষ্ট হয়ে চলেছে নেতা কর্মীদের বাকবিতন্ডায়। একুশের ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে দলবদল নিয়ে একাধিক জল্পনায় উত্তপ্ত হয়েছে রাজনৈতিক মহল। সেই জল্পনাকেই ফের উস্কে দিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনায় বেশ কিছু দিন ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার সেই জল্পনায় ঘি ঢেলে অর্জুন সিং নিশ্চিত ভাবেই জানালেন, বিজেপিতে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুধু শুভেন্দু অধিকারী-ই নন, তাঁর মতে শাসকশিবির বদলে প্রস্তুত সৌগত রায় সহ আরও ৫ তৃণমূল সাংসদও। এই সমস্ত নেতাদের তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, সে কথাও জানিয়েছেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
বস্তুত, এদিন ছট পুজো উদযাপনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। আর এখানেই শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়ের মতো শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর দাবি, “শুভেন্দুর মত নেতা দল ছাড়লে তৃণমূলে আর কিছু থাকবে না। সরকার পড়ে যাবে।” এরপরই সৌগত রায় প্রসঙ্গে অর্জুন সিং দাবি করেন, “সৌগত রাগ শুধু ক্যামেরার সামনেই তৃণমূল তৃণমূল করে চিত্কার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পৌঁছাবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ক্যামেরা সরিয়ে দিলে সেই দলে আছেন সৌগত রায়ও।”
বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হয় দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে। এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া,”আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব, মরে যাব, তবু বিজেপিতে আমি কোনওদিন যোগদান করব না। কারণ বিজেপিকে আমি সাম্প্রদায়িক দল বলে মনে করি।” তিনি আরো বলেন,”অর্জুন সিং একটা এমন কিছু মানুষ নন যে, তাঁর প্রতিক্রিয়া দিতে হবে। অর্জুন সিং পরিচিত একজন বাহুবলী ও আর্থিক অপরাধী হিসেবে। ও যেগুলো বলেছে, সেগুলো ও দিবাস্বপ্নে ভেবে থাকতে পারে। অথবা বিজেপি যে সবসময় অপ্রপ্রচার বা মিথ্যা প্রচার করে আসে, তার অংশ হতে পারে।” সব মিলিয়ে একুশের আগেই যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক শিবিরগুলিতে তা বলাই বাহুল্য।