‘সৌমিত্র মরে শান্তি দিল’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেলুদাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য যুবকের

মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্র জগতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা রাজ্য তথা দেশ। দীপাবলির পর দিন সকালেই চলচ্চিত্র জগতকে অভিভাবকহীন অন্ধকারে রেখে পরলোকে পারি দিয়েছেন বাঙালির ফেলুদা। কিন্তু এই শোকের আঁধারেও কদর্য সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পেলেন না বর্ষীয়ান অভিনেতা।
এদিন বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে মৃত্যুর পর থেকেই গভীর শোকের সঙ্গে সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।ডিজিটাল মাধ্যমে একের পর এক শোক প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র জগতের তারকা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমনকি সাধারণ মানুষও। কিন্তু এরই মাঝে দেখা গেল একটি সংবাদমাধ্যমের খবরের নীচে অভিনেতাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে এক যুবক।
অভিযুক্ত যুবকের প্রোফাইলের নাম সৌম্য জ্যোতি লামা চৌধুরী। প্রোফাইল অনুযায়ী সে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের বাসিন্দা। ৫ ঘন্টা আগে জি ২৪ ঘন্টার ফেসবুক পেজ থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতির যে খবর পোস্ট করা হয় তার নীচেই কিছুক্ষণ আগে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছে ওই যুবক। বর্ষীয়ান অভিনেতাকে আক্রমণ করে সে লিখেছে, “হিন্দু বিরোধী বামপন্থী কামপন্থী ছিল। মরে শান্তি দিল। মুসলমানদের প্রতি অগাধ প্রেম ভালোবাসা কিন্তু হিন্দুদের জন্য কোনো প্রেম নেই। কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের এরাই সাপোর্ট করে।”
বলা বাহুল্য, প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুর শোকের মাঝেই এহেন কুরুচিকর মন্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ ভালো চোখে দেখেননি কেউই। যুবকের মন্তব্যের তুমুল সমালোচনায় গর্জে উঠেছেন নেটিজেনরা।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আজ দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ ক্লিনিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি বামপন্থী রাজনীতির সমর্থক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কার্যত অনাথ হয়ে গিয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র জগত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিকে সরিয়ে রেখে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। দেশ জুড়ে যে ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি দিন দিন মাথা চারা দিয়ে উঠছে, বিদায়ের এই দিনটায় কি সেই কুৎসিত রাজনীতির দলাদলি প্রাপ্য ছিল ফেলুদার? উঠছে প্রশ্ন।