প্রবল চাপের মুখে হাথরাসের ডিএম এসপিকে সাসপেন্ড করল উত্তরপ্রদেশ সরকার

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:তুমুল চাপের মুখে অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল যোগী সরকার। হাথরাসের পুলিশ সুপার, ডিএসপি এবং আরো দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। শুক্রবার রাতেই তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন বিকেলেই হাথরাসের পুলিশের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সুপার প্রমুখের কার্যকলাপের রিপোর্ট তলব করেছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছিল। এই কান্ডের জন্য নিযুক্ত তদন্তকারী দল সিটের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাথরাস কান্ড ও তাতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ছিল যোগী সরকার। দেশ জুড়ে মানুষের অসন্তোষকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ছিল। সরকারে অযোগ্যতা ও পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন দেশের নানা প্রান্তের মানুষ। এমতাবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের আচরণ নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় সরকারকে।শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা হাথরাসের ওই দলিত পরিবারের কাছে যেতে চাইলে তাঁদেরকেও বাধা দেয় পুলিশ। গোটা গ্রাম ঘিরে রাখা হয়, কাউকে ওই পরিবারের ধারে কাছেই ঘেঁষতে দেওয়া হয় না। অভিযোগ, ওই পরিবারটিকে হুমকি দিয়ে গৃহবন্দী করে রেখেছে তাঁরা।
এসব সামনে আসতেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। বিকেল ৫টা থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে ভিড় জমাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সামনেই অন্ধকারে মোমবাতি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন কয়েকশো মানুষ। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি মানুষ প্রতিবাদে অংশ নেন। বলা বাহুল্য, রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলিও এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল।
জনরোষের প্রবল চাপের মুখে তড়িঘড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে রিপোর্ট তলব করে সরকার। রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয় দ্রুত।