

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক বাদানুবাদে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার পরিস্থিতি। একদিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যকে হাতিয়ার করে মসনদ দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি, অন্যদিকে তেমনই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। পিছিয়ে নেই বাম কংগ্রেস জোটও। এমতাবস্থায় দলবদল নিয়ে সম্প্রতি যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে তাকেই আরো একবার কটাক্ষ করলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুই দলের মধ্যে শুরু হয়েছে দোষারোপের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। এদিন তৃণমূল বিজেপির সেই দ্বন্দ্বকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর নিশানায় ছিলেন মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলেছেন সুজন চক্রবর্তী?এদিন নিজের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ছবি শেয়ার করেছেন যাদবপুরের এমএলএ সুজন চক্রবর্তী। সেই ছবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর দুটি বক্তব্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। দুজনেই যে দুজনের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ এনেছেন, ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে মূলত তাই তুলে ধরা হয়েছে।
https://www.facebook.com/365129816841454/posts/3769513849736350/?app=fbl
দুই নেতার বক্তব্যকেই ১০০ শতাংশ সত্যি বলে দাবি করেছেন সুজন চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী দুজনকেই হঠানোর দাবিও জানিয়েছেন তিনি। নিজের পোস্টের সঙ্গে তিনি লিখেছেন, “সর্বাংশেই সত্য। হিসেব নেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর বিজেপিতে গিয়েই প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি। এর পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুভেন্দু অধিকারীকেই তোলাবাজ বলেছিলেন তিনি। দুই দলের এই বিবাদের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য এসেছে। তাঁর এই মন্তব্য একুশের মহারণের আগে সাম্প্রতিক রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ।

