
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: অবশেষে অবসান হতে চলেছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সমস্ত জল্পনার। রাজ্য মন্ত্রী সভার পরিবহন মন্ত্রীর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন আগেই। তারপর থেকেই একাধিক কার্যকলাপ ও আচরণ থেকে বোঝা গিয়েছিল দলীয় বিধায়ক পদ ত্যাগও শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই ধারণাকে সত্যি করে প্রত্যাশা মতোই কাজ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন রাজ্যের বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবরে জানা গেছে, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বিধানসভা ভবনে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি ইস্তফা পত্র জমা দিতে পারেননি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ১টা নাগাদ বেরিয়ে গিয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে বিধানসভা ভবনের দোতলায় স্পিকারের সচিবের কক্ষে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মনে করা হচ্ছে, তাঁর কাছেই ইস্তফা পত্র জমা দেবেন তিনি।
বস্তুত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা নিঃসন্দেহে শাসকদলকে বড়সড় ভাঙনের মুখে দাঁড় করাল। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দলীয় অসন্তোষের ছায়া দেখা দিয়েছিল দীর্ঘদিন ধরেই। দলের বিভিন্ন ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের নেতা। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন সভায় তাঁকে দেখা যাচ্ছিল দলীয় পতাকা ছাড়াই। দল ছাড়াই মানুষের কাজ করার কথা বলে বিতর্ক আরো উস্কে দিচ্ছিলেন তিনি।
১৮ দিন আগে পরিবহন মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও শুরু হয়েছিল জল্পনা। তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেও সমাধান সূত্র মেলেনি।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গ সফরে আছেন। সেখান থেকেই এদিন তিনি নাম না করে দলের বিদ্রোহী নেতাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। তিনি বলেন, এতদিন ধরে সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিয়ে এখন ভোটের মুখে যাঁরা অন্য জায়গায় বোঝাপড়া করছেন তাঁদের তিনি বরদাস্ত করবেন না। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এখন যে রাজ্য রাজনীতি সরগরম তা বলাই বাহুল্য।