

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক বাদানুবাদে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার পরিস্থিতি। একদিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যকে হাতিয়ার করে মসনদ দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি, অন্যদিকে তেমনই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূলও। এমতাবস্থায় একাধিক নাটকীয় ঘটনায় জমে উঠেছে রাজনৈতিক মহল।
কিছুদিন আগেই সারদা কান্ডের মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠিতে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ। সেই চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নামও নেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এবার মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই ‘বিদ্রোহী’ নেতা। তাঁর দাবি সুদীপ্ত সেনের এই চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হওয়ার ফলেই এই চিঠিতে তাঁর নাম যোগ করা হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে তদন্তের দাবি করে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি লেখেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, “রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে আমার ইস্তফা,তারপর সেই চিঠি লেখা এবং মিডিয়ার হাতে তা পৌঁছে দেওয়ার ঘটনাপ্রবাহ দেখেই আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে। অতি প্রভাবশালীদের সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে জোর করে ওই চিঠি লেখানো হয়েছে। সুতরাং যথাযথ ভাবে ওই চিঠির তদন্তের প্রয়োজন।”
বস্তুত, আলিপুর জেলে বন্দী সুদীপ্ত সেন কিছুদিন আগে হঠাৎই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন তাঁর থেকে কোন কোন রাজনৈতিক নেতারা কত টাকা নিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে ছিল কংগ্রেস ও বাম নেতাদের নাম। সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরী, শুভেন্দু অধিকারী, বিমান বসুর নাম নিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এঁরা যে মানুষকে ঠকিয়েছেন, সে কথাও চিঠিতে জানান সুদীপ্ত সেন। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর এই প্রতিক্রিয়া যে নিঃসন্দেহে শাসকদলের সঙ্গে তাঁর দূরত্বকেই স্পষ্ট করল, তা বলাই বাহুল্য।

