
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেকটাও গাঁথা হয়ে গেল। প্রত্যাশা মতোই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করলেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েই তৃণমূল বিরোধী স্লোগানে কাঁপিয়ে তুললেন মেদিনীপুরের মঞ্চ।
এদিন বিজেপিতে যোগদানের পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মা কাউকে বলতে হলে নিজের মা ও ভারতমাতাকে মা বলব, অন্য কাউকে নয়।” একই সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যের কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি। সবমিলিয়ে ভরপুর নাটকীয় পরিস্থিতির সাক্ষী থাকল এদিনের মেদিনীপুর।
এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে অমিত শাহকে বড় দাদা বলে সম্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নেতাগিরি করব না। বিজেপি পতাকা লাগাতে বললে লাগাব, দেওয়াল লিখতে বললেন লিখব।আমি ছাত্র রাজনীতি করে উঠে এসেছি।” দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই মঞ্চে ওঠেন শুভেন্দু। তারপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন।
উল্লেখ্য, এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লেখেন শুভেন্দু অধিকারী। দল ত্যাগ করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে কোনও পরিবর্তন হয়নি। নীচুতলার কর্মীরা একটু একটু করে দল তৈরি করেছেন। যাঁরা পার্টি তৈরি করেছেন, তাঁরা গুরুত্ব পাননি । ব্যক্তিগত স্বার্থ দলে প্রাধান্য পেয়েছে। আজ আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের অভ্যন্তরে তৈরি হচ্ছিল চাপা অসন্তোষ। দলীয় পতাকা ছাড়াই সভা করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী,যার জেরে দানা বাঁধছিল জল্পনা।এরপর ধাপে ধাপে মন্ত্রীত্ব, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার পর দল ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বিজেপিতে যোগ দান যে সময়ের অপেক্ষা তা বুঝতে বাকি ছিল না কারোরই। ভোটের আগে দলবদল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।