
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক : শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কে অবশেষে শেষ পেরেকটাও গাঁথা হয়ে গেল। গত কাল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর আজ অফিসিয়ালি দল ত্যাগ করলেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
দীর্ঘদিন ধরেই ধাপে ধাপে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যে দল ত্যাগের পথেই এগোচ্ছেন, তা অনুমান করতে বিশেষ কষ্ট হচ্ছিল না। তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতৃত্বের প্রতি নিজের অসন্তোষ চেপে রাখছিলেন না তিনি। এমনকি দলীয় পতাকা ছাড়াই করে চলছিলেন সভা।
৫০ বছর বয়সী এই নেতার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়েই জল্পনার অন্ত নেই। তবে অনেকেই মনে করছেন তাঁর বিজেপিতে যোগদান প্রায় নিশ্চিত। চলতি সপ্তাহের শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরেই নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী, শোনা
গেছে তেমনটাও।
বস্তুত ১৮ দিন আগে রাজ্য মন্ত্রী সভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেনশুভেন্দু অধিকারী। তারপর গতকাল দলীয় বিধায়ক পদ থেকেও বিধানসভা ভবনে গিয়ে জমা দেন ইস্তফা পত্র। আজ তাঁর দল ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আকাশে যে দলবদলের কালো মেঘ দানা বেঁধেছে তাই আরো প্রকট হল। তাঁর পদত্যাগ নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।
গতকালই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাড়ে চার বছর ধরে মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব সামলে ভোটের মাত্র পাঁচ মাস আগে দল ছেড়ে দেওয়াকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না শাসকদল। উত্তরবঙ্গ সফর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গতকাল ‘বিশ্বাসঘাতক’ দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। এখন কবে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন শুভেন্দু অধিকারী, সেটাই দেখার জন্য মুখিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।