
মহানগর বার্তা: স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চরম গাফিলতির জেরেই চলে গেল বছর আঠারোর ফুটফুটে প্রাণ। তিনটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও একটিতেও ঠাঁই পাননি ইছাপুরের শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বুকে ব্যথা নিয়ে প্রায় বারো ঘন্টা হাসপাতালের দোরে দোরে ঘুরে অবশেষে মায়ের আত্ম’হত্যার হুমকিতে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তরুণকে ভর্তি নিলেও, প্রাণে বাঁচেনি শুভ্রজিৎ। ভর্তির পর মৃ’ত্যু হয় তাঁর।
তবে, হাসপাতাল ব্যবস্থার দূর্দশার জন্য ছেলের মৃ’ত্যুর ঘটনাকে খু’নের চোখে দেখছেন শুভ্রজিৎের মা-বাবা। এই অভিযোগে আজ রবিবার বেলঘড়িয়া থানায় লিখত এফআইয়ার জমা দেন শুভ্রজিৎের মা শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায়।
সূত্রমতে, ছেলেকে ইচ্ছে করে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগে তাঁর অকালপ্রয়াণ হয়েছে এই দাবিতেই বেলঘড়িয়ায় মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তরুণের পরিবারের মতে তিনটি হাসপাতালই ইচ্ছে করে ভর্তি নেয়নি তাঁর ছেলেকে। পাশাপাশি ৫ মিনিটের মধ্যে লালারস সংগ্রহ করে ছেলেকে কোভিড পজিটিভ বলে দাগিয়ে দেওয়াটাও ভাওতাবাজি বলে দাবি তাঁদের। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বারবার পুলিশের সাহায্য নিতে বলছেন, সেখানে পুলিশের তরফেও এখানে গা-ছাড়া মনোভাব দেখানো হয় বলে জানান তরুণের পরিবার।
প্রসঙ্গত, উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজী পল্লীর বাসিন্দা শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মৃ’ত্যুতে একাধিক হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। অভিযোগের তীর স্বাস্থ্যভবনের দিকেও। শুভ্রজিৎের পরিবারের তরফে হেল্পলাইনে বার দশেক ফোন করেও লাভ হয়নি। পরে, কলকাতা পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করেও কোনও সদুপায় মেলেনি। চোখের সামনে নিজের ছেলের এই মর্মান্তিক পরণতি মেনে নিতে পারছেন না শুভ্রজিৎের মা-বাবা। তাই স্বাভাবিক প্রয়াণ নয় বরং সরাসরি খু’ নের অভিযোগ করাকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা।