
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: এক সময় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি৷ বিভিন্ন তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে আম-আদমি। এবারেও সেই একই ছবি। টেট দুর্নীতি মামলায় চাকরি গেছে প্রায় ২৭০ জনের৷ সরকারি চাকরি খোয়ানো চাকরি প্রার্থীরা অনেকেই খোভ উগ্রে দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উপর।
বীরভূমের ইলামবাজারের ছবিটাও এক, তবে কিছুটা ব্যতিক্রম। প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। কিন্তু চাকরি না মেলায় টাকা ফেরত পেতে, রাস্তাতেই তৃণমূল কর্মীর পা ধরলেন এক যুবক।

অভিযোগকারী আশিস সিং এর বক্তব্য, ২০১২ সালে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার জন্য, তৃণমূল কর্মী রতন মণ্ডলকে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি পাননি তিনি। এরপর ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন ওই তৃণমূল কর্মী। ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এখনও ফেরত দেননি বলে আশিস এর অভিযোগ।
গত শুক্রবার, প্রকাশ্য দিবালোকে, টাকা ফিরত এর দাবীতে ওই অভিযুক্তর পায়ে পড়ে যান আশিস সিং। চাকরিপ্রার্থীর দাবি, প্রথমে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ২ মাস সময় চান তৃণমূল কর্মী। কিন্তু এখনও মেলেনি সেই টাকা। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও চাকরিপ্রার্থীর দাবি সম্পুর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। তৃণমূলকর্মীর বক্তব্য, “সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমি নিজের মেয়ের প্রাইমারিতে চাকরির জন্য, নানুরের বাসাপাড়ার বাসিন্দা রফিককে টাকা দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে টাকা দিচ্ছেন না।”

