
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: আবহাওয়া দপ্তরের খবর বলছে শীতের শুরুতে রাজ্যের পারদ নেমে গেছে অনেকটাই। কিন্তু বাংলার রাজনীতির দিকে চোখ রাখলে তা বোঝার উপায় নেই। একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক বাদানুবাদে ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলার পরিস্থিতিতে। এই আবহেই এদিন আরো এক রঙ্গের সাক্ষী থাকল উত্তরবঙ্গ।
তরুণ বামপন্থী নেত্রী ঐশী ঘোষের বক্তৃতা দেওয়ার দক্ষতার পরিচয় আগেই পেয়েছেন রাজ্যের মানুষ। এবার তাতে মজলেন বিরোধী নেতাও। এদিন উত্তরবঙ্গের একটি সভায় দলীয় কর্মসূচীতে বক্তৃতা দেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেত্রী ঐশী ঘোষ। স্বভাবতই বক্তৃতায় শাসক দলের বিরুদ্ধেই গলা ফাটান তিনি। কিন্তু তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতায় মুগ্ধ হন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা।
ঠিক কী ঘটেছিল? সূত্রের খবরে জানা গেছে এদিন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়া মোড়ে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষ।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই এদিন সভা মঞ্চ থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় ভোটের আগে শাসক দলের বিভিন্ন কর্মসূচীর সমালোচনা করেন তিনি। আর ঐশী ঘোষের সেই বক্তৃতায় মুগ্ধ হন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দুলাল দেবনাথ। শুধু তাই নয়, তিনি বামপন্থী নেত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়েছেন বলেও জানা গেছে সূত্রের খবরে।
ঐশী ঘোষের সভা মঞ্চের উল্টোদিকেই ছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস। সেখান থেকেই ঐশীর বক্তৃতা শোনেন দুলাল বাবু। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মেয়েটি ভালো বক্তৃতা করে। ওর রাজনৈতিক জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।”সভার শেষে যখন ঐশী ফিরে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠছেন সেই সময়ে এগিয়ে গিয়ে ঐশীকে রাজনৈতিক জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া উপহার দেন তৃণমূল নেতা দুলাল দেবনাথ।
এদিন সভা মঞ্চ থেকে ‘দুয়ারে সরকার’-এর বিরুদ্ধে গলা ফাটিয়ে ঐশী বলেন, “আমরা জানি নির্বাচিত সরকার মানুষের পাশে থাকে। কিন্তু আমাদের রাজ্যের সরকারকে দুয়ারে সরকার বলে প্রচার চালাতে হচ্ছে। যার অর্থ এই সরকার কখনই মানুষের পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা দেখেছি রাজ্যের পূর্বতন বাম সরকার সবসময়ে মানুষের পাশে ছিল। মানুষ যেন সেই অভিজ্ঞতার নিরিখে ভোটআধিকার প্রয়োগ করেন।”