
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা নিয়ে জারি তরজা। তমলুকের এই তৃণমূল নেতার অসন্তোষ নিয়ে বেশ অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, কিন্তু গতকাল তাঁর পদত্যাগের পর যে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে শাসক শিবির, মুখ্যমন্ত্রীর আচরণেই তা স্পষ্ট।
পর্যবেক্ষকের মতে, শুভেন্দুর পদত্যাগের পর জেলায় জেলায় দলের নেতৃত্বের হাল দৃঢ় করতে এবার জেলাভিত্তিক পর্যালোচনায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সে কারণেই ডাকা হয়েছে পর্যালোচনা বৈঠক। জানা গেছে, বৈঠকে প্রথমেই ডাকা হয়েছে মালদহ জেলার তৃণমূল নেতৃত্বকে। বস্তুত, মালদহের তৃণমূল গড়ে উঠেছে মূলত শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই। এই জেলার নেতৃত্বের দায়িত্বে তিনিই ছিলেন বেশ কয়েক বছর। মনে করা হচ্ছে, ‘অভিমানী’ নেতার প্রভাব মালদহে এখনও কতটা রয়েছে তা খতিয়ে দেখতেই ডাকা হয়েছে বৈঠক।
শনিবার বিকেলে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মালদহ জেলা পরিষদের সভাপতি গৌরচন্দ্র মন্ডলকে। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মালদহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও। জানা গেছে, শনিবারের বৈঠকে থাকবেন মালদহের জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুর। এছাড়া, তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটররাও থাকবেন।
শুধু তাই নয়, শনিবারের বৈঠকে ডাকা হয়েছে মালদহের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং সাবিত্রী মিত্রকেও।বলা বাহুল্য, এদের মধ্যে অনেকেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূলের খাস মহলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে দলের অভ্যন্তরে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে বিতর্ক দানা বাধছিল তা আর গোপন ছিল না একেবারেই। এমনকি বিজেপি থেকে প্রকাশ্যে আহ্বানও জানানো হয়েছিল প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রীকে। এর মাঝেই গতকাল মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তিনি তৃণমূল দল ছাড়েননি এখনও।