
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। দলীয় অসন্তোষে কার্যত জেরবার শাসকদল তৃণমূল। এমতাবস্থায় প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মাধ্যমে যে ধাক্কা ভোটের আগে শাসক শিবিরে এসে লেগেছে, তাকেই কি আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিল নন্দীগ্রামের ঘটনা? তেমনটাই দাবি রসিক মহলের।
এদিন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মীসভায় হঠাৎই ভেঙে পড়ল মঞ্চ, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাসির রোল উঠেছে রসিক মহলে। মঞ্চে উপস্থিত সমস্ত নেতারাই পড়ে যান বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুকে এই বিপত্তি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান।
বস্তুত, তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মনোমালিন্যের পর এখন নন্দীগ্রামের শক্ত ঘাঁটিতে নতুন করে ক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে শাসক দলকে। কিন্তু আগামী নির্বাচনে সেই পরীক্ষা শুরুর আগেই এল বিপত্তি। মঞ্চ ভেঙে পড়ে গিয়ে পর্যুদস্ত হলেন ঘাসফুল বাহিনী। এদিন নন্দীগ্রামে নিজেদের অবস্থান যাচাই করে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই দলীয় সভার ডাক দিয়েছিলেন কর্মীরা। উপস্থিত সমস্ত নেতাই জানিয়েছিলেন যে শুভেন্দু অধিকারী নয়, তাঁরা আছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই।
কিন্তু পীযুষ ভুঁইয়া মঞ্চে উঠে বক্তৃতা রাখার সময়েই আসে বিপত্তি। পীযুষ ভুঁইয়া এলাকার প্রবীণ নেতা। হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মঞ্চ৷ কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মঞ্চে উপস্থিত প্রায় সবাই একে অন্যের ঘাড়ে পড়ে যান। বক্তৃতা দিতে দিতেই ধরাশায়ী হন পীযুষ ভুঁইয়াও।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই ঘটনাকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। অতিরিক্ত ভারেই মঞ্চ ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নীরব শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে শাসকদলের অবস্থান এখন মোটেই সুবিধার নয়। মন্ত্রীত্ব ছাড়লেও এখনও নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ ছাড়েননি শুভেন্দু। তবে তাঁকে ছাড়াই এখন নির্বাচনী কৌশল স্থির করছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা মেঘনাদ পালকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দল৷ আবার সোমবারই সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর নতুন অফিস খুলেছেন তাঁর অনুগামীরা৷