
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজ্যে ততই প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দল গুলির তৎপরতা। বিহারের নির্বাচনের পালা মিটতেই কার্যত বাংলাতেও বেজে গেছে ভোটের দামামা। ইতিমধ্যেই সমস্ত শক্তি নিয়ে মসনদ দখলের ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি ,তৃণমূল কিংবা বাম-কংগ্রেস জোট। এবার গেরুয়া শিবিরের গো-রাজনীতিকে টক্কর দেওয়ার ইঙ্গিত মিলল ঘাসফুলেও।
হিন্দুধর্ম অনুযায়ী গোরু পুজোর রীতি দীর্ঘদিন ধরেই মেনে এসেছে বিজেপি। তবে এবার গোপাষ্টমী উপলক্ষ্যে ঘটা করে গোরু পুজো করতে দেখা গেল তৃণমূলকেও। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ সম্প্রতি গোপাষ্টমী পালন করেছেন বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুতে এই গো-পুজো করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই যা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিজেপি তৃণমূল তরজা।
হিন্দু ভাবাবেগকে আশ্রয় করে ভোট টানার জন্যেই তৃণমূল নেতা গো-পুজো করেছেন, এমনটাই দাবি করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ করেছেন, সামনে বিধানসভা নির্বাচন। হিন্দু ভোট টানতে গোমাতার পুজো করছে তৃণমূল।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই গো-পুজোর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। গোরু হিন্দুদের দেবতা, গত পাঁচ বছর ধরে গরু পুজো করছেন, বলে জানিয়েছেন দীনেশ বাজাজ।
বস্তুত, ধর্মীয় খুঁটিনাটি নিয়ে বিজেপি তৃণমূল টেক্কার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে রামনবমী থেকে রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে চরমে উঠেছিল দুই শিবিরের দ্বন্দ্ব। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই গরু এবং গোশালা সংরক্ষণে উৎসাহ দিতে এ বার ‘গো-পরিষদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।২২ নভেম্বর গোপাষ্টমী-র দিন এই পরবিষদের প্রথম বৈঠক হবে বলেও জানানো হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে। বিজেপির গো-পুজোর মাঝেই এবার বিতর্কের কেন্দ্রে তৃণমূলও।