
মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্কঃ রবিবার রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়জোরা কৃষি বিল। কিন্তু সেই বিল নিয়ে শুরু হয় বিরধী পার্টিদের বিরোধিতা। প্রবল বিরোধিতার মুখে পরে মোদী সরকার। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের আসর ঘিরে চলে বিরোধিতা। তৃণমূল সাংসদের উপর ওঠে বিল ছেঁড়ার অভিযোগ। যার জেরে তৃণমূল সাংসদ সহ আরও ৮ জনকে ১ সপ্তাহের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করার সিন্ধান্ত নেওয়া হল।
কাল রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই এক প্রকার দুন্ধুমার বেঁধে যায় সভার মধ্যেই। কৃষি বিলে খামতি আছে বলে আওয়াজ তোলেন ভারতীয় কিষান সঙ্ঘ ও বিরোধী পার্টির সাংসদরা । বিরোধী পার্টির তরফ থেকে জানান হয় এই বিলের ফলে কৃষকদের থেকে বেশী কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলে জানান। কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজোয়া কটাক্ষ করে বলেন বলেন, ‘চাষিদের মৃত্যু প্ররোয়ানায় কিছুতেই সই করবে নয়া কংগ্রেস’। কৃষি সংস্কারের বিল নাকি আসলে চাষিদের মৃত্যুর পরোয়ানা।’
অন্যদিকে, ওয়েলে নেমে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিংয়ের কাছ থেকে রাজ্যসভার রুল বুক ছেড়ার চেষ্টা ও মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে কিছু সাংদের বিরুদ্ধে।
সোমবার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস ডেরেক, দোলা সেন, কংগ্রেসের রাজু সাতাভ, রিপুন বোরা ও সৈয়দ নাজির হুইসেন, সি পি এমের কে কে রাগেশ এলামরাম করিম এবং আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংয়কে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁদের অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বেঙ্কাইয়া নাইডু আরও বলেন, “ডেপুটি চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে ভয় দেখানো হয়েছিল। সরকার আর বিরুদ্ধে আবেদন করে । বিরোধীদের তরফে ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে একটি চিঠি আমার কাছে এসেছে।”
সূত্রে খবর অধিবেশন কক্ষ পরিত্যাগের সময় স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যান তাঁরা । অবশ্য এই বিতর্কিত বিষয়ে “ডেরেক’ও ব্রায়ান জানিয়েছেন আমরা রুল বুক ছিঁড়ি নি। ছেঁড়ার চেষ্টাও করিনি। আমাদের নামে মিথ্যাচার চলছে।
তৃণমূল ওই সিদ্ধান্তকে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা’ বলে বর্ণনা করেছে।