নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকতে বাধা, অভিযুক্তদের সমর্থনে সভায় নিশ্চুপ হাথরাস পুলিশ

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক:হাথরাস কান্ডে ফের একবার প্রশ্নের মুখে উঠে এল উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রশাসন। হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আশ্রয়ের আশ্বাস দিলে ভীমসেনা দলের প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে বাধা দেয় পুলিশ। অথচ, ওই একই স্থানে হাথরাস ঘটনায় অভিযুক্তদের সমর্থনে যখন সভার আয়োজন করে তথাকথিত উচ্চ বর্ণের মানুষজন, তখন তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এহেন আচরণ নিঃসন্দেহে একাধিক প্রশ্ন তুলছে দেশবাসীর সামনে।
গত ৪ঠা অক্টোবর হাথরাসের নির্যাতিতা তরুণীর বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ভীমসেনা দলের প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। সেদিন তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে ওই পরিবারের জন্য দাবি করেন ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। এমনকি তা না হলে পীড়িত ওই পরিবারকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেওয়ার কথাও জানান তিনি। কিন্তু এরপর তাঁর এবং আরো ৪০০ জনের বিরুদ্ধে কারফিউ আইন ভঙ্গের অভিযোগে আনে পুলিশ।
কিন্তু এদিন হাথরাসের ঘটনার অভিযুক্তদের সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এলাকার প্রাক্তন এক বিজেপি এমএলএ এই সভার মূল উদ্যোক্তা। সভায় দাবি করা হয়, হাথরাস কান্ডে অভিযুক্ত চার জনই নির্দোষ। এমনকি হাথরাসে কোনো ধর্ষণই হয়নি। শুধু তাই নয়, রাজবীর সিং পেহেলবান নামের ওই ব্যক্তি ভীমসেনা দল প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে খুনের হুমকিও দিয়েছেন জনসমক্ষেই। বস্তুত করোনা পরিস্থিতিতে এমন বিশাল সভা আয়োজনের ক্ষেত্রে পুলিশ কোনো অভিযোগ আনে নি। তাতে বাধাও দেয় নি তাঁরা। করোনা বিধির কথা জিজ্ঞেস করা হলে রাজবীর সিং পেহেলবান জানান, সরকার নাকি ২০০ জন মানুষের জমায়েতের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের হাথরাস গ্রামের উনিশ বছর বয়সী তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তরুণীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে সৎকার করে ফেলেছিল পুলিশ। তাছাড়া পীড়িত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেও তাঁরা বাধা দিয়েছে সংবাদমাধ্যম এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। এখন অভিযুক্তদের সমর্থনে আয়োজিত সভার প্রতি তাঁদের ঔদাসীন্য নতুন করে বিতর্ককেই আরো দৃঢ় করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।