ছি! ভেন্টিলেশনের রোগীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী

মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: পুরুষের বিকৃত যৌন লালসা যে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে আরো একবার তার নিদর্শন পাওয়া গেল ভারতবর্ষে। লালসার হাত থেকে রেহাই পেল না ভেন্টিলেশনের রোগীও। গুরগাঁওয়ের একটি হাসপাতালের জনৈক স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল ওই হাসপাতালেরই আইসিইউতে ভর্তি এক রোগিনীকে ধর্ষণের। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই শিউরে উঠেছেন সকলে।
হাসপাতাল সূত্রের খবরে জানা গেছে, হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের ফর্টিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২১ বছরের ওই তরুণী। তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত। চলতি মাসের ২১ তারিখে ৪৪ নম্বর সেক্টরের ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। প্রবর শ্বাসকষ্ট থাকায় তরুণীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। বাধ্য হয়েই তাঁকে আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করতে হয়। জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত নড়াচড়ার ক্ষমতাও ছিল না তরুণীর। সেই সময়েই তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ২৭ অক্টোবরের পর জ্ঞান ফিরলে তরুণী যখন কিছুটা সুস্থ বোধ করেন, তখন নিজের বাবাকে তিন পাতার একটি চিঠি লেখেন তিনি। সেখানেই নিজের সঙ্গে ঘটা অন্যায়ের কথা জানিয়েছেন তিনি। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে থাকাকালীন যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তা ভাবতেও পারেননি পরিবারের কেউ। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
তদন্ত শুরু করে হাসপাতালের রেকর্ড এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। জানা গেছে, অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর নাম বিকাশ। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত বিকাশ ওই হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী।হাসপাতালের তরফে অবশ্য এ বিষয়ে তরুণীর বয়ান নিতে বাধা দেওয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশের তরফ থেকে হাসপাতালে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্যাতিতা তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গুরগাঁওয়ের এই ঘটনা আরো একবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের উপর। হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগেও যে মেয়েরা সুরক্ষিত নয়, যে কোনো জায়গায় যে কোনো অবস্থাতেই যে তাঁরা পুরুষের বিকৃত লালসার স্বীকার হতে পারে এই ঘটনা তাই প্রমাণ করেছে আরো একবার।