চিনের সাথে আলোচনায় বসা গেলে, পাকিস্তানের সাথে কেন যাবেনা! বিস্ফোরক মেহবুবা মুফতি


মহানগর বার্তা ওয়েবডেস্ক: প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলির সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মেহবুবা মুফতি। চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আচরণ নিয়ে এদিন নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত ভারতের,এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সোমবার জম্মুতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি ভারত পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ককে চিনের সঙ্গে তুলনা করেন। শুধু তাই নয়, তিনি জানান কাশ্মীরের জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসা জরুরি। সেই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা বলেছেন পিডিপি নেত্রী।
বস্তুত, দীর্ঘ ১৪ মাস অন্তরীণ অবস্থায় থাকার পর সোমবারই প্রথম জম্মুতে যান মেহবুবা মুফতি। সেখানে গিয়ে গত বছর জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন তিনি। বিজেপি সরকারের সেই সিদ্ধান্তই যে কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য করেছে, সে কথাও জানান তিনি। “আজ ১০-১৫ বছরের বাচ্চা ছেলেরা জঙ্গি দলে নাম লেখাচ্ছে কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি তাঁদের কণ্ঠরোধ করেছে। ওদের কাছে আর অন্য পথ নেই। জেলে যাওয়া অথবা হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া- এই দুইয়ের মধ্যে থেকে দ্বিতীয়টাই বেছে নিয়েছে তারা।”
এরপরই পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে অপর প্রতিবেশী চিনের তুলনা টানেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। “যদি চিনের সঙ্গে কথা বলা যায়, তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে নয় কেন? আমরা চিনের কাছে হাত জোর করে আমাদের জমি ফিরে চাইছি কিন্তু ওরা আমাদের কথায় কান দিচ্ছে না। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কেন কথা বলি না?” প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছর আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের সাংবিধানিক বিশেষ অধিকার বিলোপ করে ভারত সরকার। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে এই অধিকার বিলোপ করা হয়। তারপর থেকেই ওই অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন।

