
মহানগরবার্তা ওয়েবডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ভারতবর্ষে কিছু বিকৃত মানসিকতার পুরুষদের চিন্তাধারার মান, মূল্যবোধ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। আরো একবার সেটাই প্রমাণ হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়।আইপিএলে পরপর কয়েকটি ম্যাচ জিততে না পারায় চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যা জিভাকে ধর্ষণের হুমকি দিল কিছু বিকৃত মানসিকতার লোক। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলায় হারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই জাতীয় মন্তব্য দেখা যায়। ফেসবুক ট্যুইটার ও ইনস্টাগ্রামের একাধিক পোস্টেই করা হয়েছে এমন ঘৃণ্য মন্তব্য।
ম্যাচ জেতাতে না পারা ধোনির সমালোচনা করতে গিয়ে স্পষ্ট বলা হয় ‘তেরি বেটি জিভাকা রেপ করুঁ?’ বৃহস্পতিবার ওই হুমকির পর শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় নি। দুবাইতে আইপিএল খেলতে ব্যস্ত ধোনিও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। প্রতিক্রিয়া আসেনি তাঁর স্ত্রী সাক্ষীর তরফেও। ধোনি পরিবার এহেন আচরণের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে কি না, তাও জানা যায় নি।যদিও এসমস্ত ক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।
বেশ কিছুদিন ধরে মহেন্দ্র সিং ধোনি বাইশ গজে নিজের পুরোনো ফর্মে নেই, তারই কোপ গিয়ে পড়েছে পাঁচ বছর বয়সী ওই নিষ্পাপ শিশু কন্যার উপর। ধোনির পাশাপাশি রান তাড়া করতে ব্যর্থতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দিত হচ্ছেন কেদার যাদবও। কিন্তু তাঁর পরিবার বা পরিজনদের জড়িয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু ধোনির ক্ষেত্রে যে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তা নজিরবিহীন তো বটেই, সেই সঙ্গে গোটা বিশ্বের কাছেই ভারতের মাথা হেট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারত তথা সমগ্র বিশ্বের একজন সেরা ক্রিকেট খেলোয়াড়। ক্রিকেট মাঠে ব্যর্থতার জন্য তাঁর শিশুকন্যাকে যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
বুধবার কেকেআরের বিরুদ্ধে ১৬৮ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ রানে হেরেছিল চেন্নাই। চার নম্বরে নেমে ১২ বলে ধোনি করেন ১১। কেদার ১২ বলে করেন ৭। হারের পর ওই দু’জনকে নিয়ে চলতে থাকে সমালোচনা। অবশেষে তার রেশ মাঠের বাইরে ধোনির পারিবারিক জীবনেও এসে পড়ে। প্রসঙ্গত, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা তাঁর স্ত্রী সাক্ষী, উভয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। সেই সূত্রেই কি কোপ পড়ল তাঁদের শিশু কন্যার উপর?
চেন্নাইয়ের হয়ে ম্যাচ জেতাতে না-পারায় চেন্নাইয়েরই কোনও সমর্থক ওই হুমকির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।তবে অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের উপর থেকেও সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না পুরোপুরি।